ভারতীয় ভিসা আবেদন নিয়ে ভোগান্তির অভিযোগ
বাংলাদেশ থেকে ভারতে টুরিস্ট ভিসা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করে অনলাইনে ব্যতিক্রমী এক ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন একদল আগ্রহী পর্যটক। অনলাইন থেকে ই-টোকেন নিতে গিয়ে যে হয়রানির মুখে পড়তে হয় তার প্রতিবাদ জানাতেই এই ক্যাম্পেইন।
অনেক ব্যবসায়ীরাও এই ক্যাম্পেইনে যোগ দিয়েছেন। তারা সামাজিক মাধ্যমে ইভেন্ট পেজ তৈরি করে এই ক্যাম্পেইন যেমন চালাচ্ছেন, পাশাপাশি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গণহারে ইমেইল পাঠাচ্ছেন। সেই ইমেইলের ভাষা ও বক্তব্য একই। সেখানে বলা হচ্ছে অনলাইনে ভিসা নিতে গিয়ে সাক্ষাতকারের জন্য ই-টোকেন সংগ্রহ করতে পারছেন না তারা।
কিন্তু ভিসা অফিসের আশেপাশে তৃতীয় একটি পক্ষ সেই টোকেন সরবরাহ করছেন টাকার বিনিময়ে। বিনামূল্যে যে টোকেন পাওয়ার কথা তা কিনতে হচ্ছে হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করে।
ভারতীয় হাই কমিশনসহ ভারতীয় বিভিন্ন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে তারা গণহারে ইমেইল পাঠাচ্ছে।
এই ক্যাম্পেইনের অন্যতম তানভীর রুহেল সিলেটের বাসিন্দা। ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে প্রায়ই ভারতে যেতে হয় তাকে। তার নিজের ট্যুরিজম প্যাকেজ ব্যবসাও ছিল যা ভিসা জটিলতার কারণে চালাতে পারছেন না বলে তিনি জানান। তিনি বলছিলেন,ফেসবুককে ঘিরেই এই গণহারে ইমেইল ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে গত ২৩ তারিখ থেকে। চলবে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত। ট্রাভেলার্স বাংলাদেশ নামে একটি ভ্রমণ ভিত্তিক ওয়েবপেজকে ঘিরেই এই প্রচারণা। তাদের সদস্য সংখ্যা একলক্ষ চল্লিশ হাজারের মত বলে জানাচ্ছেন তানভীর রুহেল । তিনি নিজে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে মেইল পাঠিয়েছেন বলেও দাবি করেন।
তাদের অভিযোগ আগে অনলাইনে ফরম পূরণ করে নিলে ৩/৪ দিনের মধ্যে সাক্ষাতকারের দিন পাওয়া যেত। কিন্তু দুবছর ধরে তারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও কোনও সাক্ষাতের দিন পাচ্ছেন না। কিন্তু টাকা খরচ করতে পারলেই সাক্ষাতের দিন পাওয়া যায়।
রুহেল বলেন, “আপনি টাকা দিবেন, লাইনে দাঁড়াবেন, সেই লাইনের মধ্যেও দুর্নীতি হয় ।আড়াই হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।অনেকেই মজা করে বলেন, ভারতীয় ভিসা পাওয়ার চেয়ে আমেরিকার ভিসা আরও সহজ”।
সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা এই তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে তারা জানাচ্ছেন। এই হয়রানি বন্ধ হলে আরও বেশি পর্যটক ভারতে যেতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন।